ক্যানিং থেকে গ্রেফতার হওয়া কাশ্মীরের ইসলামিক জঙ্গি জাভেদ মুন্সিকে রবিবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের জন্য তাঁকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের শ্রীনগরে তানপুরাতে থাকেন ইসলামিক জঙ্গি জাভেদ। ক্যানিংয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ অভিযানে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, কাশ্মীরের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের সদস্য তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ে নিজের শালার বাড়িতে এসেছিলেন ইসলামিক জঙ্গি জাভেদ। তাঁর শালা পেশায় শাল ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী বলেন, ‘‘জাভেদ আমার ননদের স্বামী হন। যে দিন তিনি এসেছিলেন আমাদের বাড়িতে, সে দিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ ধৃতের জঙ্গিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওই মহিলা বলেন, ‘‘আমার ননদের সঙ্গে ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছে জাভেদের। ও কী করে, কিছুই জানি না। পুলিশও জিজ্ঞেস করেছে একই প্রশ্ন। আমরা জানিয়েছি যে ইসলামিক জঙ্গি জাভেদ আমাদের আত্মীয়। এখানে আসতে চেয়েছিলেন। আমরা বলেছি, এসো। এর থেকে বেশি কিছু জানি না।’’
কাশ্মীরের শ্রীনগরের তানপুরাতে আসল বাড়ি ইসলামিক জঙ্গি জাভেদের। সেখানেই থাকে। তবে সে ক্যানিংয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিল। গোপন সূত্রে তার খোঁজ পায় পুলিশ। এরপরই পুলিশ শনিবার রাতে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। তাকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়। তবে সূত্রের খবর ওই জঙ্গি বেশ কিছুদিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এরপর সে ক্য়ানিংয়ের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে ঘাপটি মেরেছিল। তবে সে কেন এভাবে ক্যানিংয়ে এসেছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জেরে জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে নানা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ থেকে ইতিমধ্য়েই দুজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার ক্যানিং থেকে গ্রেফতার করা হল একজনকে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই তার অতীতের কার্যকলাপ সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছে। কেন সে ক্যানিংয়ে এসেছিল সেটারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে তাকে। সূত্রের খবর, ক্যানিং হাসপাতাল মোড়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল সে। তার নাম জাভেদ আহমেদ মুন্সি। তেহেরিক উল মুজাহিদিনের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। সে নাকি আইইডি তৈরিতে দক্ষ।
তার বাংলাদেশে যাওয়ার ছক ছিল কি না সেটা দেখা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে সে ক্যানিংয়ে এসেছিল। যে বাড়িতে সে এসেছিল তিনি ওই ব্যক্তির সম্পর্কে জামাইবাবু হন। সেই সূত্র ধরে সে এখানে এসেছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তার ছকটা কী ছিল? তবে কি ওখানে বসে সে অন্য কোনও পরিকল্পনা করছিল? তবে কাশ্মীর পুলিশ তার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। এরপর তারা কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর তারা ক্যানিংয়ের ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিকে। তবে কি এবার জঙ্গিরা বাংলাকে তাদের নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে করছে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হতে ক্লিক করুন Aaj Bangla News হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।