বিয়ের পর থেকেই সোনাক্ষী সিনহা ও জ়াহির ইকবালকে ঘিরে নানা ঘটনা-পরম্পরা সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। বলিউডের এই জনপ্রিয় দম্পতি প্রায়ই তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন, যা ভক্তরা আগ্রহ নিয়ে দেখে। বহু বছর ধরে একে অপরকে চেনা এই দুই তারকা সম্পর্কের নানা ওঠাপড়া সামলেছেন। দীর্ঘ আট বছরের পরিচয়ের পথে তাঁদের সম্পর্ক একসময় এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে আলাদা হয়ে যাওয়ার ভাবনাও মাথায় আসে এবং মানসিক পরিস্থিতি সামলাতে তাঁদের থেরাপির সাহায্য নিতে হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সম্প্রতি সোহা আলি খানের পডকাস্টে উপস্থিত হয়ে সোনাক্ষী(Sonakshi Sinha) খোলাখুলি জানান তাঁদের সম্পর্কের টানাপড়েনের কথা। তিনি বলেন, প্রথম তিন বছর সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল—সমঝোতা, বন্ধুত্ব, এবং ভালবাসা সবই ছিল মসৃণ। কিন্তু তিন বছর পর থেকে আচমকা নানা কারণে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। ভুল বোঝাবুঝি, ক্ষোভ ও তিক্ততা ধীরে ধীরে সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। এমন পর্যায়ে পরিস্থিতি পৌঁছেছিল যে তাঁরা দু’জনেই একে অপরের সঙ্গে থাকতে অসুবিধা অনুভব করছিলেন, এমনকি একসঙ্গে সময় কাটানোও তাঁদের অসহনীয় হয়ে উঠেছিল।
তবুও সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ দু’জনকেই ভাবতে বাধ্য করে। সোনাক্ষী জানান, ঝগড়া-অশান্তি যতই বেড়ে যাক, তাঁরা দু’জনেই ঠিক করেছিলেন যে সম্পর্ক ছেড়ে দেওয়া নয়, বরং সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় কাপল থেরাপির সন্ধান। বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
অভিনেত্রী জানান, মাত্র দুটি থেরাপি সেশন নেওয়ার পরেই তাঁদের দু’জনের মধ্যে আবার যোগাযোগের স্বচ্ছতা ফিরে আসে। তাঁরা অনুধাবন করেন, একে অপরের অনুভূতি বোঝা ও সম্মান করা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূল চাবিকাঠি। সেই উপলব্ধি তাঁদের সম্পর্ককে আগের মতো করে তোলে। এমনকি এই বোঝাপড়া ও নতুন করে আবেগের জন্মই সোনাক্ষীর মনে বিয়ের ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে। থেরাপি শুরু হওয়ার মাত্র এক মাসের মধ্যেই তিনি জ়াহিরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
অবশেষে পরিবারের ঘনিষ্ঠ মানুষদের নিয়ে ২০২৪ সালের ২৩ জুন সোনাক্ষী ও জ়াহির বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের সম্পর্কের এই নতুন শুরু আজও আলোচনা ও প্রশংসার বিষয়।
