মানিকচক উৎসবের শুরুতেই ভয়ানক নদী ভাঙনের শিকার Malda মালদহের Manikchak মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকা। গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে একাধিক এলাকায়। নদীর জল ক্রমশ ঢুকছে। ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। আবারও ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় এলাকার বাসিন্দারা। বহু মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়িঘর ছেড়েছেন। পুজোর মুখে এই নদী ভাঙনে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। জলের চাপে নদী বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে।
ফলে জল ঢুকে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানিকচকের ভূতনি, রতুয়া, মহানন্দাটোলা এলাকায় সাধারণ মানুষ জন এখন আতঙ্কে রয়েছেন। গঙ্গা প্রবল স্রোতে বইছে। বিহার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল গঙ্গার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে। তার ফলে গঙ্গা নদী এখন উত্তাল হয়ে রয়েছে। প্রবল ভাঙন শুরু হয়েছে গঙ্গা নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায়। প্রতিদিনই অনেকটা করে জমি চলে যাচ্ছে গঙ্গার গর্ভে।
চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বহু বাড়িঘর নদীগর্ভ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে সাধারণ বাসিন্দারা নদীর পাড়ের এলাকা থেকে সরে যেতে শুরু করেছেন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে তারা ঘরবাড়ি ছাড়ছেন। পরবর্তী সময়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসতে পারবেন কী? সেই প্রশ্ন উঠছে। বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। বহু জায়গাতেই গঙ্গার জল ঢুকছে।
প্রশাসনিক স্তরেও প্রচুর মানুষকে উঁচু জায়গায় সরে যেতে বলা হচ্ছে। ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে একাধিক এলাকায়। গোপালপুর এলাকায় চাষের জমি তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গা গর্ভে। মহানন্দা নদীর জল একই ভাবে বেড়েছে। ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের একাধিক জায়গায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে সেখানেও পরিস্থিতি যথেষ্ট দুশ্চিন্তার।
পুজোর সময় Malda মালদহের একাধিক এলাকা তাহলে কি বন্যার কবলে পড়বে? সেই আশঙ্কা আরও চেপে বসছে। সাধারণ মানুষ দুশ্চিন্তায়। ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় ভাবে দিন কাটছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের। ভাঙন আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে। ছোট ছোট শিশুদের বুকে জাপটে ধরে চোখের জল ফেলে রাত কাটছে মায়েদের। মানিকচক ব্লকের গোপালপুর অঞ্চলের কামালতিপুর এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে বিঘার পর বিঘা জমি তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাবক্ষে।