সপ্তাহান্তের শুরুতেই শীতের তেজ যেন আরও জোরালো রূপ নিয়েছে। গোটা শহরজুড়ে বইছে শুষ্ক, ঠান্ডা ও ঝোড়ো হাওয়া, যা মাঝে মধ্যেই মানুষের শরীরে হাড়কাঁপানো শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মরশুমে শনিবারই কলকাতার(kolkata) জন্য সবচেয়ে ঠান্ডা দিন হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। শহরের তাপমাত্রার পারদ সকালে নেমে পৌঁছে যায় ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এই সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এমন হঠাৎ ঠান্ডা নেমে আসায় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নতুনভাবে শীতের স্পর্শ টের পাওয়া যাচ্ছে—রাস্তাঘাটে বেড়েছে গরম পোশাকের ব্যবহার, সকালের কুয়াশা ঘিরে ফেলেছে শহরের বহু অংশ, আর সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আরও কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও একই ধরনের তীব্র শীতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগেই ঠান্ডার দাপট শুরু হয়েছিল, তবে এখন দক্ষিণবঙ্গেও সেই প্রবল শীতের ঝোড়ো কামড় স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও নেমে যাচ্ছে, ফলে অনেক জায়গায় ঘন কুয়াশার চাদর বিছিয়ে থাকছে ভোর পর্যন্ত। কৃষিকাজ, স্কুলে যাতায়াত, বাজার করা—সব ক্ষেত্রেই শীতের প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়ছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন এই ঠান্ডার আমেজ বজায় থাকবে। উত্তরের হিমেল হাওয়া অবিরাম দক্ষিণে নামতে থাকায় তাপমাত্রার আরও সামান্য পতন ঘটতে পারে। যদিও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, তবে শুষ্ক হাওয়ার কারণে রাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা অনুভূতি আরও তীব্র হবে। সবারই তাই এখন প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে—বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষের ক্ষেত্রে গরম পোশাক ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।
সংক্ষেপে বলা যায়, শীতের দাপট এই সপ্তাহান্তে কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আর আবহাওয়া দপ্তরের ইঙ্গিত অনুযায়ী, এই মনোরম তবে কনকনে শীতকালীন পরিবেশ আরও কয়েকদিন ধরে উপভোগ করতে চলেছেন রাজ্যের বাসিন্দারা।
