Bangladesh
Bangladesh গত বছর বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ও ইউনূস সরকার গঠনের পরই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা তিক্ত হয়। সেই সময় বাংলাদেশ বলেছিল, তারা ভারতের উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে, আলু-পেঁয়াজ থেকে শুরু করে চাল সহ একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানির জন্য বিকল্প দেশ বেছে নেওয়া হবে। পাকিস্তান, চিন, মায়ানমার, তুরস্ক, মিশরের নাম শোনা যায়। ভারতের পাশাপাশি মায়ানমার থেকে আগেও পেঁয়াজ কিনত বাংলাদেশ, তবে তা পরিমাণে কম। অন্য কোনও দেশ থেকে বাংলাদেশের কিছু আমদানি করতে যা খরচ হচ্ছে, তা ভারতের থেকে আমদানি খরচের প্রায় দ্বিগুণ-তিনগুণ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সেই কারণেই ফের ভারতের দ্বারস্থ হতে হল বাংলাদেশকে। ইতিমধ্য়েই হিলি সীমান্ত দিয়ে ৩০ টন পেঁয়াজ নিয়ে একটি ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে। শেষবার চলতি বছরের ৩০ অগস্ট এই সীমান্ত দিয়ে রফতানি হয়েছিল বাংলাদেশে। স্থল বন্দর বন্ধই রাখা হয়েছিল। ভারতে যেখানে পেঁয়াজের দাম ২৮ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি, সেখানেই বাংলাদেশের বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা। বাংলাদেশের অবস্থা এখন “ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি”। পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি প্রায় ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই। এই অবস্থায় সেই ভারতেরই দ্বারস্থ হতে হল বাংলাদেশকে।
ভারতের কাছ থেকেই পেঁয়াজ কিনবে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আপাতত ১৫০০ টন পেঁয়াজ কেনার অনুমতি দিয়েছে সে দেশের কৃষি মন্ত্রক। আপাতত ভারত থেকে ১২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছে বাংলাদেশ। গাড়ি ভাড়া ও বন্দরের ট্যাক্স মিলিয়ে তা প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা দাম পড়ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে এবার পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে।বাংলাদেশের ৫০ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে পেঁয়াজ কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানি করা যাবে। কোনও আমদানিকারক ৩০ টনের বেশি আমদানি করতে পারবে না। কেউ দ্বিতীয়বার আমদানিও করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, বিগত এক সপ্তাহে আচমকাই পেঁয়াজের দাম লাগামছাড়া ভাবে বৃদ্ধি পায়। কেজি প্রতি ১৫০ টাকা দাম ছাড়াতেই কৃষি মন্ত্রক পেঁয়াজের আমদানি করা নিয়ে আলোচনা শুরু করে। ৩৫০০টি আবেদনের মধ্যে থেকে ৫০ জনের আবেদন বাছাই করে নেওয়া হয়েছে। পরে আরও অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
