এক বছর পর আবার সুপার কাপে ফাইনালের মঞ্চে ফিরল ইস্টবেঙ্গল(east Bengal)। গোয়ায় অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে পঞ্জাব এফসি-কে ৩-১ ফলাফলে হারিয়ে লাল-হলুদেরা জায়গা করে নিল টুর্নামেন্টের শিরোপা লড়াইয়ে। দলের হয়ে গোল করেন মহম্মদ রশিদ, কেভিন সিবিলে এবং সাউল ক্রেসপো। অন্যদিকে অপর সেমিফাইনালে গোয়া ২-১ ব্যবধানে মুম্বই সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। তবে ইস্টবেঙ্গলের বড় দুশ্চিন্তা কোচ অস্কার ব্রুজোর লাল কার্ড—ফলে তিনি ফাইনালে ডাগআউটে বসতে পারবেন না।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই সতর্ক ছিল এবং লম্বা বল খেলে সুযোগ খুঁজছিল। পঞ্জাব দু-একবার আক্রমণে উঠলেও সেভাবে ধারালো হতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল বল দখলে কিছুটা আধিপত্য তৈরি করে নিচ থেকে আক্রমণ গড়ার চেষ্টা চালায়। প্রথম গোল আসে কর্নার থেকে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে। ১২ মিনিটে পঞ্জাবের ডিফেন্স বল ক্লিয়ার করলেও তা রশিদের পায়ে গিয়ে পড়ে। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া নিচু শট পঞ্জাবের রক্ষণ ভেদ করে জালে ঢুকে যায়, যদিও গোলকিপার শাবির ছোঁয়া পেয়েছিলেন।
গোলের পর লাল-হলুদ আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। নাওরেম মহেশের এক প্রচেষ্টাও আটকে দেওয়া হয়। জলপান বিরতির পর খেলার গতিপ্রকৃতি পাল্টায়—বিপিন সিংহের হাতে বল লাগায় পঞ্জাব একটি পেনাল্টি পায় এবং ড্যানিয়েল রামিরেজ় সহজেই গোল করে সমতা ফেরান। যদিও কিছুক্ষণ পরে রশিদের আরেকটি দূরপাল্লার শট লক্ষ্যে লাগেনি, কিন্তু বিরতির ঠিক আগেই পাওয়া কর্নার থেকে সিবিলে হেড করে দলকে আবার এগিয়ে দেন। গোল উদ্যাপনের সময় চতুর্থ রেফারির সামনে অতিরিক্ত উত্তেজনা দেখানোর কারণে অস্কার দ্বিতীয় হলুদ দেখে মাঠ ছাড়েন।
দ্বিতীয়ার্ধে গ্যালারি থেকে নির্দেশ দিতে দেখা যায় তাকে। মাঠে ইস্টবেঙ্গল আগের মতোই দাপট দেখাতে থাকে। মহেশ, মিগুয়েল, বিপিনদের দারুণ কম্বিনেশনে তৈরি হয় কয়েকটি সুযোগ; ইবুসুকির শক্তিশালী হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত ৭১ মিনিটে মিগুয়েলের পাস পেয়ে সাউল ক্রেসপো দুরন্ত দূরপাল্লার শটে তৃতীয় গোলটি করেন এবং ম্যাচের ফল কার্যত নির্ধারিত হয়। শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ বাড়ালেও আরও গোল পায়নি, কিন্তু সেমিফাইনাল জিতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তারা ফাইনালের দিকে এগোল।
