Durga Puja পুজোর আগে আবহাওয়ার ঘনঘন ‘মুড সুইং’। কখনও ভ্যাপসা গরম, আবার কখনও বৃষ্টি। আর আবহাওয়ার মেজাজ বদলে দোসর হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। পুজোয় কি তবে সঙ্গে নিতে হবে ছাতা? নতুন পোশাক কি ঢাকতে হবে রেনকোটে? এই সমস্ত প্রশ্ন আর আশঙ্কার মধ্যে অবশ্য আশার কথা শোনাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোম থেকে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তবে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। অন্ধ্র উপকূলে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা কিছুটা দক্ষিণ দিকে সরে গিয়েছে। ফলে তা সে ভাবে আর বাংলাকে প্রভাবিত করবে না বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোম থেকে শুক্র দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত।
তবে কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে। সোমবার শুধুমাত্র উপকূলের জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রয়েছে। এ দিন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। পুজোর ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে যান অনেকেই। গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিপাত হয় উত্তরবঙ্গে।
একাধিক রাস্তায় নামে ধস। তবে চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। শুধুমাত্র পার্বত্য এলাকাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার বৃষ্টির সতর্কতা ও সম্ভাবনা বেশি কোচবিহার, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। দার্জিলিং থেকে মালদা-সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা এই মুহূর্তে আলোয় মোড়া। বছরভরের প্রচেষ্টায় থিম তৈরি করেছেন বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই সমস্ত আয়োজনে কি জল ঢালবে আবহাওয়া?
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য জানাচ্ছে, সোমবার দুপুরের পর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম। ১১ এবং ১২ অক্টোবর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের নীচে। পুজোর মধ্যে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। সোমবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৬ ডিগ্রি বেশি। এ দিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৭ শতাংশ।