R G Kar Medical College and Hospital আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন ছিল পূর্ব পরিকল্পিত বলে জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। নিম্নমানের ওষুধ এবং শিক্ষার মান নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়। আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন সিবিআই কর্তারা। জানা গিয়েছে, তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুন কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। বরং পুরোটাই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কোথায় কখন খুন করা হবে সব আগে থেকে ঠিক করা ছিল। জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে যে ওষুধ দেখা হত, তা ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। এ নিয়ে বেশ কিছু সিনিয়র চিকিৎসককে সরাসরি অভিযোগ করেন ওই তরুণী। সিনিয়র চিকিৎসকরা সকলেই ছিলেন সন্দীপ ঘোষের কাছের লোক। যে কারণে এই খবর সন্দীপ ঘোষের কাছে পৌঁছায়। এই থেকে শুরু হয় সমস্যা।
এরই সঙ্গে R G Kar Medical College and Hospital আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পঠনপাঠন নিয়েও অভিযোগ তুলেছিলেন। ঠিক মতো ক্লাস হত না কলেজে। তাঁর গবেষণা পত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। – এমন খবর এসেছে সিবিআই কর্তাদের হাতে। প্রথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে বোঝানো হয়েছিল। পরে, গোয়ান্দাদের হাতে আসা তথ্য বলে, তরুণী মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে ভয় দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু, সে চুপ না করায় খুন করার ছক কষা হয়।
কেন তিলোত্তমাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়, তা জানতে চাওয়া হয় একাধিক কর্মী ও চিকিৎসককে। তাদের কথাতেই ইঙ্গিত মেলে, মাস্টার মাইন্ড প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চিকিৎসক পড়ুয়াকে কোথায় ও কীভাবে খুন করা হবে, কার ছক সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও জানতেন আরও চার চিকিৎসক। তাঁরাই নাকি এই ছক কষেছিলেন। এমনই জানা গিয়েছে তদন্তে। জানা গিয়েছে, নিজের ঘনিষ্ট কয়েকজন চিকিৎসক-সহ আরও কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমেই আর জি করে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের নিখুঁত পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন ঘটান সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালের অভ্যন্তরীন নানা অনিয়ম ও অন্যায় জেনে ফেলায় এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতেই এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।