উত্তরের হিমেল হাওয়া কার্যকর হতেই কলকাতা শহর (Kolkata winter)জুড়ে নেমে এসেছে শীতের স্বস্তি। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় পাঁচ ডিগ্রি কমে যাওয়ায় শীতের আমেজ বেশ স্পষ্ট। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, অন্তত আগামী এক সপ্তাহ এই ঠান্ডা আবহ বজায় থাকতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাজুড়ে বৃহস্পতিবার ছিল চলতি মরশুমের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে শীতল দিন। অনুমান করা হচ্ছে, আজ শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও দুই ডিগ্রি কমতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকতেই পারে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গোটা রাজ্যের সমতল অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে ঠান্ডা ছিল বীরভূমের শ্রীনিকেতন, যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস—যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩.১ ডিগ্রি কম। উত্তরবঙ্গের সমতলে শীতলতম জায়গা ছিল আলিপুরদুয়ার, যেখানে পারদ থেমেছে ১২ ডিগ্রিতে। এদিকে কলকাতায় বুধবার ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ১৭.৭ ডিগ্রি, যা বৃহস্পতিবার আরও নেমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রিতে—স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কিছুটা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি শীত মরশুমে এই প্রথম শহরে তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির নিচে নামল।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, শুক্রবার কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। তবে এর থেকে বেশি ঠান্ডা নামার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সক্রিয় উত্তুরে হাওয়ার ফলেই ঝাড়খণ্ডে শনিবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ বজায় থাকতে পারে। এর প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় পড়েছে, যেখানে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২–১৩ ডিগ্রির মধ্যে ছিল। কলকাতার আশেপাশে কল্যাণী সবচেয়ে ঠান্ডা জায়গা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যার তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৬ ডিগ্রিতে।
এদিকে পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ত্রাই-ডুয়ার্স অঞ্চল ও দুই দিনাজপুরে পারদ তুলনামূলকভাবে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির কাছাকাছি ছিল। সামগ্রিকভাবে রাজ্যে আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা, ফলে দিনের বেলায় রোদের উষ্ণতা থাকলেও সকাল ও রাতের দিকে শীতের অনুভব আরও বাড়বে।
