c
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!মেসি(messi) এবার নামবেন শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে। তাঁর দল ইতিমধ্যেই গত বিশ্বকাপে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে এবং দলীয় সমন্বয় ও অভিজ্ঞতা অনেক বেশি পরিণত। অন্যদিকে রোনাল্ডোর সামনে রয়েছে ব্যক্তিগত এক বড় চ্যালেঞ্জ—তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য পূরণ করা। বয়সের অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার ধারকে কাজে লাগিয়ে রোনাল্ডোও চাইবেন তাঁর দেশকে বিশ্বচূড়ায় উঠিয়ে দিতে। ফলে দুই কিংবদন্তির যাত্রাপথ যদি একই দিকে এগোয়, তাহলে নকআউট পর্বে তাদের মধ্যে এক রোমাঞ্চকর মোকাবিলা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ফুটবল ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের মুখোমুখি লড়াই মোট ৭ বার হয়েছে। এই সাত ম্যাচের মধ্যে পর্তুগাল বেশিরভাগ সময়ই আধিপত্য দেখিয়েছে—তারা জিতেছে ৪টি ম্যাচে। অপরদিকে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে মাত্র একবার। বাকি দুটি ম্যাচ অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে ড্র হিসেবে। পরিসংখ্যানের ভাষায় তাই ইউরোপের দলটিই এগিয়ে থাকে। তবে মজার ব্যাপার হল, এতবার মুখোমুখি হলেও বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে কখনও একবারও দেখা হয়নি মেসি ও রোনাল্ডোর সরাসরি লড়াই। দুই ফুটবল সম্রাটের কিংবদন্তিতে ভরা ক্যারিয়ার থাকা সত্ত্বেও বিশ্বকাপের ইতিহাস এখনও তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষের সাক্ষী হয়নি।
এবার তাই সমর্থকদের মনে একটাই প্রশ্ন—এবার কি অবশেষে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে পাওয়া যাবে সেই বহু প্রতীক্ষিত ‘মেসি বনাম রোনাল্ডো’ দ্বৈরথ? গ্রুপ বিন্যাস, দুই দলের ফর্ম ও সম্ভাব্য সূচি দেখে মনে হচ্ছে সেই অসম্ভব বলে মনে হওয়া দ্বন্দ্ব এবার বাস্তবেই রূপ নিতে পারে। ফুটবল ভক্তদের আশাও সেই কারণেই তুঙ্গে।
