মহেন্দ্র সিংহ ধোনির(MS Dhoni) আন্তর্জাতিক কেরিয়ার প্রায় দেড় দশকের। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি শুধু ভারতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ই নন, বরং অধিনায়ক হিসেবেও দেশকে এনে দিয়েছেন তিনটি আইসিসি ট্রফি—টি-২০ বিশ্বকাপ, এক দিনের বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাঁর নেতৃত্বের সাফল্য, অবিশ্বাস্য শান্ত স্বভাব এবং ম্যাচ ফিনিশিং ক্ষমতা তাঁকে ক্রিকেটবিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বিপুল রেকর্ডের মালিক এই ক্রিকেটারকে নিয়ে ভক্তদের উচ্ছ্বাস তাই আজও অব্যাহত।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ধোনিকে প্রশ্ন করা হয়, দীর্ঘ আন্তর্জাতিক যাত্রায় তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বা স্মরণীয় মুহূর্ত কোনটি। অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো এর উত্তর হিসেবে ২০১১ সালের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মারা সেই বিখ্যাত ছক্কার কথাই বলবেন—যে ছক্কায় ভারত ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবার এক দিনের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু ধোনির উত্তর কিছুটা ভিন্ন ও গভীর অনুভূতির।
ধোনি জানান, তাঁর কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত আসলে সেই বিজয়ী ছক্কাটি নয়। বরং তার আগের এক বিশেষ সময়। তিনি বলেন, ম্যাচের শেষ হওয়ার প্রায় ১৫-২০ মিনিট আগে এমন এক দৃশ্য তৈরি হয়েছিল, যা আজও তাঁর শরীর কাঁপিয়ে দেয়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম খুব বড় না হলেও সেখানে যখন দর্শকরা একসঙ্গে চিৎকার বা গান গাইতে শুরু করে, সেই শব্দ পুরো মাঠের ভেতরেই প্রতিধ্বনিত হয়। ঠিক সেই সময় গোটা স্টেডিয়াম হঠাৎ করেই ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে। একেবারে এক সুরে না হলেও, মাঠের এক দিক থেকে আরেক দিকে ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়ছিল সেই জাতীয়তাবোধের জোয়ার।
মাঠের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে ধোনি পরিষ্কারভাবে অনুভব করেছিলেন দর্শকদের উত্তেজনা, আবেগ এবং ভারতের জয়ের প্রতি অভিন্ন বিশ্বাস। তাঁর কথায়, সেই মুহূর্তে যে শিহরণ, যে অনির্বচনীয় অনুভূতি তাঁর মনে জন্মেছিল, সেটি কোনো দিন ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তিনি স্পষ্ট বলেন, তাঁর দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি হলো এই দর্শকদের একতাবদ্ধ আবেগময় মুহূর্ত—যা তাঁর কাছে যেকোনো জয় বা ব্যক্তিগত কৃতিত্বের থেকেও অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
