দক্ষিণী তারকা নাগ চৈতন্য (Naga Chaitanya) সাধারণত সমাজমাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নন। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গও সচরাচর প্রকাশ্যে আনেন না তিনি। কিন্তু প্রাক্তন স্ত্রী সমান্থা রুথ প্রভু (Samantha Ruth Prabhu) এবং পরিচালক রাজ নিদিমোরুর (Raj Nidimoru) বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই যেন আচমকাই তাঁর উপস্থিতি প্রকট হয়ে উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই হঠাৎ সক্রিয়তা দেখে নেটাগরিকেরা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন এবং শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!১ ডিসেম্বর কোয়েম্বত্তূরে ঘনিষ্ঠ মহলের উপস্থিতিতে সরল, ছিমছাম আয়োজনেই বিয়ে করেন সমান্থা ও রাজ। নাগ চৈতন্যর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী বহুবার জানিয়েছেন, হয়তো আর কখনও কাউকে ভালবাসতে পারবেন না, কারণ তাঁর মন যেন দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে ছিল। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার যন্ত্রণা তাঁকে ভেঙে দিয়েছিল—এমন দৃশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনেও ধরা পড়েছে। তবু সমান্থা বারবার বলেছেন, ভালবাসার প্রতি তাঁর আস্থাই তাঁকে টিকিয়ে রেখেছে। অবশেষে সেই মনের দরজা আবার খুলে দিলেন তিনি, এবং রাজ নিদিমোরুকে জীবনের নতুন সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করলেন। তাঁদের বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অভিনন্দনের পাশাপাশি আলোচনার ঝড় তুলল ইন্টারনেট।
এমন পরিস্থিতিতেই নাগ চৈতন্য সমাজমাধ্যমে একটি বার্তা পোস্ট করেন। তিনি লেখেন—একজন শিল্পী যদি নিষ্ঠা, সৃজনশীলতা এবং সততার ভিত্তিতে নিজের কাজ করে যান, তবে দর্শকের সঙ্গে তার একটি অদৃশ্য যোগাযোগ তৈরি হয়। মানুষ শুধুমাত্র শিল্পীর কাজ গ্রহণই করে না, সেই শক্তি ফিরিয়ে দিতেও জানে। নিজের বক্তব্যের উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন তাঁর অভিনীত ‘ধূতা’ ছবিকে, যার দু’বছর পূর্ণ হওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন পোস্টে। লক্ষ্য করার বিষয়, নাগ সাধারণত খুব কমই সমাজমাধ্যমে এমন লেখা পোস্ট করেন। ফলে সমান্থার বিয়ের দিনেই তাঁর হঠাৎ এই সক্রিয়তা নেটাগরিকদের দৃষ্টি এড়ায়নি।
ইন্টারনেটে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—এমন পোস্টের কারণ কী? কেউ কেউ অনুমান করছেন, প্রাক্তন স্ত্রীর নতুন জীবনে প্রবেশের মুহূর্তে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছেন নাগ। আবার অন্যদের মতে, এই পোস্টের সময় নির্বাচনে যেন কোনও প্রতিক্রিয়া লুকিয়ে আছে। অনেকে রসিকতার ছলে লিখেছেন, “নাগ কি তবে কোনও প্রতিযোগিতায় নেমে পড়লেন?” যদিও অভিনেতা নিজে এই নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি, তবু তাঁর এই পোস্ট সমান্থার বিয়ের প্রসঙ্গে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মোটকথা, ব্যক্তিগত জীবনের পথ আলাদা হলেও একে অন্যের সঙ্গে জড়িত প্রসঙ্গ এখনও জনমতের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
