বলিউডে বর্তমানে যেন একাই রাজত্ব করছেন রণবীর সিং। তাঁর সর্বশেষ ছবি ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বক্স অফিসে ভালো সাড়া দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বড়সড় কোনও সাফল্যের মুখ না দেখা রণবীরের জন্য এই ছবিটি অনেকটাই প্রাপ্তির, কারণ দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচক—সব মহল থেকেই প্রশংসা আসছে। শুক্রবার বড়পর্দায় আসার পর থেকেই সিনেমাটি ধীরে ধীরে গতি বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহান্তে হলে ভিড় আরও বাড়বে এবং আয়ও যথেষ্ট ভালোর দিকে যাবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এই সাফল্যের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল—প্রতিযোগিতার অভাব। বর্তমানে বলিউডে বড় কোনও ছবি মুক্তি পায়নি, ফলে রণবীরের ছবি কার্যত একক প্রতিদ্বন্দ্বীহীন। যদিও ধনুষ ও কৃতী শ্যানন অভিনীত দক্ষিণী ছবি ‘তেরে ইশক মে’ চলছে, কিন্তু তা হিন্দি বক্স অফিসে খুব বড় কোনও প্রভাব ফেলছে না। এই পরিস্থিতি রণবীরের জন্য আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ প্রচারের সুবিধা থেকে শুরু করে স্ক্রিনের উপস্থিতি—সব ক্ষেত্রেই তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।
তবে এই সুবিধা ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে আর বজায় নাও থাকতে পারে। ‘ধুরন্ধর’ মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই নির্মাতারা ঘোষণা করেছেন যে ছবিটির সিক্যুয়েল আগামী বছর ঈদের উৎসবের সময় মুক্তি পাবে। আর এই সময়েই রণবীরের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন প্রতিযোগিতা। যশ অভিনীত ‘টক্সিক’ এবং জনপ্রিয় কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ধামাল’-এর চতুর্থ পর্বও একই সময়ে প্রেক্ষাগৃহে আসবে বলে জানা গিয়েছে। এই দু’টি ছবির নিজস্ব বিশাল দর্শকগোষ্ঠী রয়েছে, ফলে রণবীরের পরের ছবি বক্স অফিসে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
তবুও রণবীরের অনুরাগীদের মধ্যে আশাবাদ বাড়ছে। তাঁদের বিশ্বাস, ‘ধুরন্ধর’ যদি প্রথম অংশেই দর্শকের মন জয় করতে সক্ষম হয়, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে এর দ্বিতীয় ছবিও দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখবেন। সাধারণত সফল প্রথম অংশের পর দর্শকের প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। আর সেই প্রত্যাশাই সিক্যুয়েলের প্রতি আগাম উত্তেজনা তৈরি করছে। আপাতত দর্শক ও ভক্তরা অপেক্ষা করছেন, ‘ধুরন্ধর’ বক্স অফিসে কতটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং সেই সাফল্যই বা সিক্যুয়েলের পালে কতটা হাওয়া দেয়।
