দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দুরন্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আবারও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। শ্রেয়স আইয়ার চোটের কারণে এই সিরিজে খেলতে না পারায় তাঁর জায়গায় দলে সুযোগ আসে ঋতুরাজের। সেই সুযোগ তিনি শুধু কাজে লাগিয়েই নন, বরং দেখিয়ে দিলেন—মধ্যক্রমে নেমেও দলের প্রয়োজন মেটাতে তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাঁচিতে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে সফল না হলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে নজর কাড়লেন তিনি। সাধারণত ওপেনার হিসেবে পরিচিত ঋতুরাজ নতুন ব্যাটিং পজিশনে নেমেও সাবলীল ব্যাটিং করেন কীভাবে—ম্যাচ শেষে সেই বিষয়ে খোলাখুলি জানালেন তিনি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে এবং ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। তাই জাতীয় দলে ফিরে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরেও তাঁর ব্যাটে সেই ধার বজায় রাখা নিয়ে কোনও সংশয় দেখা গেল না। ঋতুরাজ জানালেন, এই পরিবর্তিত ভূমিকায় সফল হওয়ার পিছনে গৌতম গম্ভীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, যা তাঁকে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় করেছে।
ম্যাচ শেষে ঋতুরাজ বলেন, তাঁকে শুরু থেকেই জানানো হয়েছিল যে এই সিরিজে চার নম্বর জায়গায় নেমে খেলতে হবে। সেইসঙ্গে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়—পজিশন বদলালেও নিজের স্বাভাবিক খেলাটা বজায় রাখলেই যথেষ্ট। টিম ম্যানেজমেন্টের এই সমর্থন একজন ওপেনারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। ভারতীয় দলের কোচও তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যেন নিজের ব্যাটিং স্টাইলকে বদলানোর চেষ্টা না করে একই ছন্দ ধরে রাখেন। তবে ঋতুরাজ স্বীকার করেন, চার নম্বরে নেমে ইনিংস গড়ে তোলা তাঁর জন্য নতুন এক পরীক্ষা।
বিজয় হাজারে ট্রফির গত মরশুমে ছন্দহীনতায় ভুগেছিলেন ঋতুরাজ। এর পর আবার চোটের কারণে IPL থেকে মাঝপথে ছিটকে যেতে হয়েছিল তাঁকে। তবু রানের মধ্যেই থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই লাল বল বা সাদা বল—যে কোনও ফরম্যাটেই ওপেনে নেমে দীর্ঘ ইনিংস গড়ার দিকে নজর দিয়েছিলেন। সেই অভ্যাস এবং নিয়মিত রিদমই তাঁকে জাতীয় দলে নেমে নতুন ভূমিকাতেও সফল হতে সাহায্য করেছে বলে জানালেন তিনি।
