স্মার্ট, মার্জিত, সৌন্দর্যে অনন্য—এই সব গুণের কথা উঠলে অদিতি রাও হায়দারির (Aditi Rao Hydari) নাম অনিবার্য। হায়দরাবাদের রাজপরিবারের রক্ত তাঁর শিরায়, আর সেই রাজকীয় ঔজ্জ্বল্য তাঁর মুখে-চোখে স্পষ্ট। বয়স ৩৯ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর গ্ল্যামার আগের মতোই দ্যুতিময়। সম্প্রতি অভিনেত্রী খোলাখুলি জানিয়েছেন, কীভাবে খাদ্যাভ্যাস ও ফিটনেস রুটিন তাঁকে এতটা ফিট ও উজ্জ্বল রাখে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর গ্ল্যামার ভক্তদের কাছে বিশেষভাবে প্রশংসিত। সমালোচকদেরও তাঁর রূপের সামনে অনেক সময় কথা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়। একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে অদিতি জানান, সাধারণত সন্ধে সাড়ে ছ’টা থেকে সাতটার পর তিনি কিছু খান না। যদিও নিয়ম ভাঙা মাঝে মাঝে হয়, তবে তিনি রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা রাখার পক্ষপাতী। আবার কখনও মাছের ঝাল, চিংড়ির ঝাল কিংবা নেহারির প্রতি দুর্বলতা সামলাতে পারেন না—এ কথাও অকপটে বলেন।
হায়দরাবাদে জন্ম নেওয়া অদিতি হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ সালেহ আকবর হায়দারির প্রপৌত্রী। দিল্লিতে বড় হওয়া সত্ত্বেও তাঁর পছন্দ দক্ষিণ ভারতীয় খাবারই। তিনি বলেন, “ইডলি আমার ভীষণ প্রিয়। দিনের শুরুতেই ইডলি খেলে চনমনে লাগে।” ডিমও তাঁর ডায়েটে থাকে নিয়মিত, কারণ শরীরের পক্ষে তা প্রয়োজনীয়। দুপুরে সাধারণত খান নিরামিষ খাবার—ডাল-ভাত-সবজি বা কখনও কিনোয়া; আর বিকেলে স্ন্যাকস হিসেবে খান মাখানা।
রাতের খাবারে থাকে প্রোটিনসমৃদ্ধ পদ—মাছ, স্যুপ, চিকেন কাটলেট বা কাবাব। অদিতির কথায়, “যা খেতে ইচ্ছে করে, তাই খাই; তবে যতটা সম্ভব হালকা রাখার চেষ্টা করি।” তবুও ক্রেভিং হলে তিনি নিজেকে থামান না। “মনের খুশি জরুরি! চকোলেট খেতে চাইলে খাব, ফুচকা ইচ্ছে করলে সেটাও খাব,” বলেন তিনি।
অদিতি নিজেকে ‘আর্লি রাইজার’ মনে করলেও প্রয়োজনে রাত জেগে কাজ করতেও তাঁর সমস্যা নেই। ফিট থাকতে তিনি সবচেয়ে বেশি ভরসা করেন যোগ ও নাচে। প্রতিদিন একই ব্যায়াম করতে তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না। ভোগ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান—সপ্তাহে তিন দিন ৩০ মিনিট সার্কিট ট্রেনিং করেন, আর বাকি দিনগুলোতে যোগাভ্যাস। এমনকি ব্যস্ত দিনেও অন্তত ১০ মিনিট ব্যায়াম করে নেন।
কঠোর ডায়েট বা অতিরিক্ত ব্যায়াম নয়—সুষম খাবার ও নিয়মিত নড়াচড়াই তাঁর সৌন্দর্য আর গ্লো বজায় রাখার রহস্য। তাই ৩৯–এও অদিতি সমানভাবে গর্জিয়াস।
You cannot copy content of this page