ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ, স্বামী-স্ত্রী একই কক্ষে, এমনকি একই বিছানায় শুয়ে আছেন—তবুও সম্পর্কের কাছে আসার ইচ্ছা নেই স্বামীর (Partner)। স্ত্রী যতই ঘনিষ্ঠ হতে চান বা সঙ্গীর স্পর্শ কামনা করেন, স্বামী তাতে সাড়া না-ও দিতে পারেন। দিন গড়াতে গড়াতে এই দূরত্ব আরও স্পষ্ট হয়, আর শারীরিক সম্পর্ক কমে গেলে মনেও প্রভাব পড়ে—দাম্পত্যে তৈরি হয় অস্বস্তি, ভুল বোঝাবুঝি ও মানসিক দূরত্ব। তবে এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে সঙ্গীকে দোষারোপ না করে, এক ধাপ পিছিয়ে কারণগুলো বোঝা জরুরি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অনেক পুরুষ শারীরিক সম্পর্কে অনাগ্রহ দেখান নানা কারণে। প্রথমত, কাজের চাপ, ব্যস্ততা ও শারীরিক ক্লান্তি একসঙ্গে মানসিক অবসাদ তৈরি করে। এই অবস্থায় যৌনতার প্রতি স্বাভাবিক আগ্রহ অনেক সময় কমে যায়। শক্তি না থাকলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়াও হরমোনের ওঠানামা, উদ্বেগ, স্ট্রেসের মতো মানসিক সমস্যা যৌন আকাঙ্ক্ষাকে প্রভাবিত করতে পারে। আতঙ্ক, মানসিক দুশ্চিন্তা বা দীর্ঘমেয়াদি টেনশনে ভুগলে অনেক পুরুষই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চান না।
দাম্পত্যের আরেকটি বড় কারণ হল মানসিক অমিল। বাইরে থেকে সম্পর্ক যতই স্বাভাবিক মনে হোক, ভিতরে যদি ক্রমাগত মতানৈক্য বা অশান্তি থাকে, তা ধীরে ধীরে মানসিক দূরত্ব তৈরি করে। আর মানসিক দূরত্ব তৈরি হলে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও কমে যায়।
কিছু পুরুষের মধ্যে আবার নিজের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তাঁরা ভাবেন, সঙ্গীকে তৃপ্ত করতে পারবেন না। এই ধরনের আত্মবিশ্বাসের অভাব তাঁদের যৌন সম্পর্কে আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
আর কেউ কেউ যৌনজীবনে রোমাঞ্চহীনতা অনুভব করেন। দৈনন্দিন একঘেয়ে নিয়ম তাদের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। নতুনত্বের অভাবে শারীরিক মুহূর্তগুলো আর উপভোগ্য হয় না।
অনেক পুরুষের কাছে যৌনতা একঘেয়ে বা বিরক্তিকর মনে হলে তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই দূরত্ব বজায় রাখেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই দূরত্ব সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে।
তাই নিজের অনীহা সঙ্গীর মনে কষ্ট দিচ্ছে কি না, সে দিক খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কারণ সম্পর্ক গড়তে সময় লাগে, কিন্তু অযত্নে ভাঙতে সময় লাগে না। দাম্পত্যকে টিকিয়ে রাখতে হলে একে অপরের অনুভূতি বোঝা, যত্ন নেওয়া এবং খোলামেলা কথা বলা অত্যন্ত জরুরি।
