তারকাদের ভাঙনধরা সম্পর্কের ভিড়ে ব্যতিক্রম প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস ( priyank chopra and nick jonas)। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই তাঁদের অসমবয়সি সম্পর্ক নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বয়সে দশ বছরের বড় প্রিয়াঙ্কা—বর্তমানে ৪২—আর নিকের বয়স ৩২। মাঝেমধ্যে গুঞ্জন উঠেছিল, নাকি তাঁদের দাম্পত্যে ফাটল ধরেছে। কিন্তু সময়ই প্রমাণ করেছে, এই নিন্দুকদের কথা কতটা ভিত্তিহীন। প্রেমে-ভালোবাসায় ভর করে সাত বছরের পথচলা উদযাপন করছেন এই তারকা দম্পতি। আর বিবাহবার্ষিকীর এই বিশেষ দিনে আবারও নজর কেড়েছে তাঁদের রোম্যান্টিক মুহূর্ত।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সপ্তম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বিদেশের কোনও মনোরম প্রকৃতিসৌন্দর্যে ঘেরা জায়গায় ছুটি কাটাচ্ছেন তাঁরা। সেই ভ্রমণ থেকেই মঙ্গলবার সকালে নেটদুনিয়া হইচই পড়ে যায়। নিক শেয়ার করেন প্রিয়াঙ্কার একটি ছবি, যাতে দেখা যাচ্ছে—নীল জলরাশি ও পাহাড়ে ঘেরা পরিবেশে লাল বিকিনি পরে রোদ পোহাচ্ছেন অভিনেত্রী। কাঁধে জড়ানো তোয়ালে, হাতে পানীয়র গ্লাস। সেই দৃশ্য নিকের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। পিছন থেকে স্ত্রীকে লেন্সবন্দি করে তিনি লিখেছেন, “স্বপ্নের মেয়েকে বিয়ে করেছি আজ সাত বছর।” স্বামীর এই আদুরে বার্তা পেয়ে আবেগাপ্লুত প্রিয়াঙ্কাও পালটা লিখেছেন, “তোমাকেই ঘিরে আমার সব স্বপ্ন।” ফলে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ভরে উঠেছে নেটপাড়া।
বহু কাজের চাপ—প্রিয়াঙ্কার শুটিং কিংবা নিকের মিউজিক ট্যুর—সব সত্ত্বেও দম্পতি কীভাবে একে-অপরের সঙ্গে সময় কাটান? মাসখানেক আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, রবিবার সকাল তাঁদের জন্য এক বিশেষ অনুভূতি নিয়ে আসে। তাঁর কথায়, “রবিবার সকালে বিছানায় একসঙ্গে না গা ঘেঁষাঘেষি করলে দিনটাই অসম্পূর্ণ মনে হয়! এটা আমাদের একটা নিয়ম।” সপ্তাহভর ব্যস্ততার মাঝে এ একমাত্র দিন, যেদিন তাঁরা নিজেদের মতো করে ঘনিষ্ঠ সময় পান। এ যেন তাঁদের ব্যক্তিগত রীতি, যা কখনও বদলায় না।
অভিনেত্রীর মতে, তাঁর জীবনে সবচেয়ে বড় শান্তি পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে সময় কাটানো। এই বিশেষ দিনে বাইরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, বরং একে-অপরের সান্নিধ্যই তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় আরাম। অবসরে তিনি চিত্রনাট্য পড়েন, আবার টিভি দেখেও সময় কাটান। কর্মব্যস্ত জীবনেও ব্যক্তিগত সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখার এই সাধনা নিঃসন্দেহে দাম্পত্যের প্রতি তাঁদের গভীর দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।
You cannot copy content of this page