চরিত্রচয়ন নিয়ে বরাবরই নতুনত্ব আনতে ভালোবাসেন অভিনেতা রাজকুমার রাও(Rajkummar Rao
)। অভিনয়ে বৈচিত্র্য আনার চ্যালেঞ্জ তিনি সবসময়ই গ্রহণ করেন আগ্রহ নিয়ে। বলিউডে হরর–কমেডি ঘরানা যে এখন অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি, তার সূচনা হয়েছিল রাজকুমারেরই ব্লকবাস্টার ছবি ‘স্ত্রী’ দিয়ে। সেই সফলতার ধারা মাথায় রেখে এবার তিনি পা রাখতে চলেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের এক নতুন প্রকল্পে—একটি মাইথোলজিক্যাল কমেডি ছবিতে।
এই নতুন ছবিটি পরিচালনা করতে চলেছেন সুজিত সরকার। যিনি দীর্ঘদিন পর আবার হাস্যরসাত্মক ঘরানার ছবির পরিচালনায় ফিরছেন। জানা গিয়েছে, মহাভারতের একটি বিশেষ অধ্যায়কে ভিত্তি করে এই ছবির গল্প তৈরি হচ্ছে, তবে সেটি উপস্থাপন করা হবে আধুনিক রসিকতা ও হালকা-ফুলকা হাস্যরসের আবহে। পৌরাণিক ঘটনাকে সমসাময়িক বিনোদনের সঙ্গে বুনে দর্শকদের সামনে এক অভিনব রূপ তুলে ধরাই পরিচালকের লক্ষ্য।
এ ছবিতে রাজকুমার রাও ছাড়াও থাকছেন আরেক শক্তিশালী অভিনেতা—মনোজ বাজপেয়ী। দু’জনের অনবদ্য উপস্থিতি একসঙ্গে পর্দায় দেখার সুযোগ শেষবার মিলেছিল জাতীয় পুরস্কারজয়ী ছবি ‘আলিগড়’-এ। সেখানে দু’জনের অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তাই নতুন প্রকল্পে এই জুটি একত্রে কাজ করলে যে আবারও দর্শকরা বিশেষ কিছু উপহার পেতে পারেন, তা নিয়ে শিল্পমহলে আশা তৈরি হয়েছে।
সিনেমাটি নিয়ে এখনও খুব বেশি তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। তবে আলোচনা চলছে যে, ছবিটি হবে এমন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ যেখানে পৌরাণিক কাহিনি, সমসাময়িক হাস্যরস এবং দুই শক্তিশালী অভিনেতার অভিনয় দক্ষতা মিলেমিশে এক অনন্য মিশ্রণ সৃষ্টি করবে। রাজকুমার যেমন সবসময় অভিনয়ের নতুন মাত্রা আবিষ্কারে আগ্রহী, তেমনই মনোজ বাজপেয়ী তাঁর চরিত্র নির্বাচন ও অভিনয়গুণে শিল্পীদের মধ্যে বিশেষ পরিচিত। ফলে তাদের জুটি নিয়ে প্রত্যাশার পারদ ইতোমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে।
যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়, তাহলে সুজিত সরকারের এই নতুন প্রকল্পের শুটিং শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। ছবিটি মুক্তি পেলে বলিউডের কমেডি ঘরানায় নতুন এক ধারার সূচনা হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকেই। এখন শুধু অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের।
