Paschim Medinipur News
Paschim Medinipur News যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে দেখা নেই যাত্রীর ৷ বরং থরে থরে সাজানো জুতো ৷ কারণ যাত্রী প্রতীক্ষালয়টিকে ভাড়া নিয়ে জুতোর দোকান করেছেন এক ব্যবসায়ী ৷ যা দেখে চোখ ছানাবড়া এলাকাবাসীর ৷ যদিও ওই ব্যবসায়ীকে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ভাড়া দিয়েছে খোদ পঞ্চায়েত সমিতিই ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা বিধানসভার পলস্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 10 বছর আগে জনগণের সুবিধার জন্য সরকারি খরচে তৈরি হয়েছে ওই যাত্রী প্রতিক্ষালয়টি ৷ খড়গপুর 2 পঞ্চায়েত সমিতি থেকে যাত্রীদের বসার জন্য তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল সেটি ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, ওই যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে কেউ বসে না ৷ তাই সেটিকে বাড়গোকুল এলাকার বাসিন্দা লাল্টু হেমব্রমকে জুতোর দোকান করার জন্য লিজে দিয়েছে তারা । তার বিনিময়ে ওই যুবকের কাছ থেকে 6 হাজার টাকাও নিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি । একথা জানিয়েছেন স্বয়ং লাল্টু হেমব্রম ৷ তিনি বলেন, “সরকারি জায়গায় ব্যবসা করছি ঠিক কথা ৷ কিন্তু প্রতীক্ষালয়টি যখন হয় তখন একটা ঘর ব্যবসার জন্য দেওয়া হয় ৷ আমি টেন্ডারের মাধ্যমে দোকান করার জন্য জায়গাটা পেয়েছি ৷ পাশে প্রতীক্ষালয়ের জায়গা আছে ৷
এখানে যে দোকান করবে তাকে পুরো জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ৷ তেমনই বলা আছে ৷ প্রতীক্ষালয়টি এখনও ব্যবহারযোগ্য হয়নি ৷ আমি ব্যবসা করার জন্য ভাড়া দিই ৷ মাসে 500 অর্থাৎ বছরে 6 হাজার টাকা দিই আমি পঞ্চায়েত সমিতিকে । তার রসিদও আছে আমার কাছে ।” যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ব্যবসায়ীকে ভাড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খড়গপুর 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, “ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কেউ বসে না । দীর্ঘদিন অযত্নে পড়েছিল ৷ তাতে ওটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল । তাই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সামান্য টাকায় জুতোর দোকান করার জন্য একজনকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে । যেদিন যাত্রীরা আবেদন করবে তার সাতদিনের মধ্যে দোকান সরিয়ে দেব । যাত্রীরা তাদের প্রতীক্ষালয় ব্যবহার করতে পারবে ।
” পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “আমার কাছে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি । যদি আসে পুলিশ দিয়ে ওই দোকান তুলে দেব । এই ভাবে প্রতীক্ষালয় ভাড়ায় দেওয়া যায় না ।”যাত্রী প্রতীক্ষালয় কীভাবে জুতোর দোকান হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে । যদিও এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি । পিংলা এলাকার বিজেপি সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল নামক দলটা শুধু তোলামূল করে কেটে গেল । এদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারবেন না । প্রতিবাদ করতে গেলেই পুলিশ গাঁজার কেস দিয়ে তুলে নিয়ে যায় । তাই সরকারিভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা যাত্রী প্রতীক্ষালয় উলটে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে । যাতে ওদের পকেটে টাকা ভরে তাই এটা করেছে ।
