Tribes
সারা রাজ্যে এস আই আর প্রক্রিয়া শেষের মুখে। তার মাঝেই গোটা এস আই আর প্রক্রিয়ায় তাল কেটেছে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের ৩ টি গ্রাম। ওই ৩ টি গ্রামের ১৪২ জন আদিবাসী ভোটার তাঁদের প্রতি লাগাতার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এস আই আর ফর্ম পূরণ করতে অস্বীকার করেছে। অন্ত:রাষ্ট্রীয়?মাঝি সরকারে আস্থা প্রকাশ করে তাঁদের দাবি ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণের কোনো দায় তাঁদের নেই। রাজ্যে এস আই আর প্রক্রিয়া শুরু হতেই বেঁকে বসেন বাঁকুড়ার রানীবাঁধ ব্লকের চুড়কু, ডুংরিডিহি ও ভেদুয়াশোল গ্রামে বসবাসকারী প্রায় ১৪২ জন আদিবাসী ভোটার।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তাঁরা দাবি করতে থাকেন তাঁদের প্রতি সরকার লাগাতার বঞ্চনা করায় তাঁরা আর ভারতের নাগরিকত্ব রাখতে চান না। তাঁদের যুক্তি আদিবাসীরা এই দেশের জল, জমি ও জঙ্গলের মালিক। অন্যরা বহিরাগত। তাই দেশের নগরিক হিসাবে এনুমারেশান ফর্ম পূরণের মাধ্যমে অন্যদের নাগরিকত্ব প্রমাণের দায় থাকলেও তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণের কোনো দায় নেই। এই দাবিকে সামনে রেখে অন্ত:রাষ্ট্রীয় মাঝি সরকার নামের একটি ব্যবস্থার উপর আস্থার কথা জানিয়ে ওই ভোটাররা নিজেদের এনুমারেশান ফর্ম নিতে অস্বীকার করেন।
বিষয়টি জানার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ ও প্রশাসন। নরমে গরমে ওই ভোটারদের বুঝিয়ে এনুমারেশান ফর্ম পূরণ করানোর চেষ্টা শুরু হয় প্রশাসনের তরফে। এনুমারেশান ফর্ম পূরণ না করলে আগামীদিনে সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বাদ পড়ার কথাও জানানো হয়। কিন্তু তারপরেও ওই ভোটাররা এনুমারেশান ফর্ম পূরণের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান বদল না করায় গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামগুলিতে গিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। কিন্তু তারপরেও তাঁদের মত বদল হয়নি।
ওই তিন গ্রামের ক্ষুব্ধ ১৪২ জন ভোটারের দাবি এমনিতেও সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত। রেশন থেকে বিনামূল্যে পাওয়া চাল ছাড়া আর কোনো সুবিধাই তাঁরা পান না। সেদিকে এতদিন প্রশাসনের কোনো নজর ছিল না। আজ এস আই আর ফর্ম পূরণ না করাতে প্রশাসনের ঘুম ভেঙেছে। আদিবাসীদের ওই শ্রেণীকে ভুল বুঝিয়ে এমনটা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃনমূলের দাবি যারা তাঁদের এই ভুল বোঝাচ্ছেন তাঁরা দেশ বিরোধী। আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে।
