রায়পুর বিমানবন্দরের লাউঞ্জে সোমবার বেশ স্বচ্ছন্দ পরিবেশেই সময় কাটাচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেটদল। কেউ হেডফোন কানে নিয়ে গান শুনছিলেন, কেউ আবার সতীর্থদের সঙ্গে আড্ডায় মগ্ন। এই স্বাভাবিক বিশ্রামের মাঝেই এক কোণে দেখা যায় জাতীয় নির্বাচক প্রজ্ঞান ওঝার সঙ্গে গম্ভীর আলোচনা করছেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। বিরাট যেন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাখ্যা করছেন, আর মনোযোগ দিয়ে তা শুনছেন ওঝা। মুহূর্তটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তা রীতিমতো ভাইরাল হয়। রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে শতরান করার ঠিক পরই এই আলোচনার দৃশ্য নজর কাড়ায় বিশেষ অর্থ বহন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছিল, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ শেষে বিরাট ও রোহিত শর্মার সঙ্গে বিসিসিআই-এর উচ্চপদস্থেরা আলাপ করতে চান। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়, বিশেষ করে ২০২৭ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে, এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে কেন্দ্র করেই এগোতে চায় বোর্ড। তাই বিজয় হাজারে ট্রফিতে তাদের অংশগ্রহণকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছিল কর্তারা। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দলের সিরিজ না থাকলে বা চোট সমস্যা না থাকলে প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলতে হবে। যেহেতু বর্তমানে বিরাট ও রোহিত কেবল একটি ফরম্যাটে দেশের হয়ে খেলেন, তাই ম্যাচ-ফিটনেস বজায় রাখতে দু’জনেরই বিজয় হাজারেতে খেলার পক্ষে মত দিচ্ছিলেন অনেকে।
রাঁচিতে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হওয়ার পর বিরাট যদিও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে শরীরচর্চা বা বেশি ম্যাচ খেলার চেয়ে মানসিকভাবে তৈরি হওয়াতেই তিনি বেশি আস্থা রাখেন। অনেকেই তাঁর মন্তব্যকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে অনাগ্রহের ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট রোহন জেটলি জানান, বিরাট ইতিমধ্যেই বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। যদিও তিনি ঠিক কতটি ম্যাচ খেলবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। জেটলির মতে, দিল্লির ড্রেসিং-রুমে বিরাটের উপস্থিতি তরুণদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে। উল্লেখযোগ্য যে, শেষবার ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে দিল্লির অভিযান শুরু হবে। রোহিত শর্মাও সম্ভবত মুম্বইয়ের হয়ে এ বারের বিজয় হাজারে টুর্নামেন্টে খেলবেন বলে জানা গিয়েছে।
