শীত এলেই নানা আনন্দঘন পরিকল্পনা—রঙিন পোশাক, সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে নির্ভয়ে মেকআপ করার ইচ্ছা—সবই পূরণ করা যায়। কিন্তু এই সময়টায় যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি বিব্রত করে তা হল চুল পড়া। শীতে খুশকি বেড়ে যায়, তার সঙ্গে শ্যাম্পুর পর ভেজা চুল সামলাতে না পারলে চুল পড়া (Hair fall) আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে নিয়মিত চুল পড়া থামাতে চাইলে স্নানের পর কিছু অভ্যাস অবশ্যই বদলাতে হবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অনেকেই স্নানের পর তোয়ালে দিয়ে জোরে চুল মুছেন। এই অভ্যাস চুলের গোড়ায় টান পড়ে চুল ভেঙে যাওয়ার কারণ হয়। বরং ভেজা চুলকে খুব হালকা হাতে নরম পুরনো কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। এতে চুলের ওপর বাড়তি ঘর্ষণ পড়ে না এবং চুল সুস্থ থাকে। আরেকটি সাধারণ ভুল হল ভেজা চুলে চিরুনি চালানো। পানিভেজা চুল সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকে, ফলে একটু টান দিলেই গোড়া থেকে চুল উঠে আসে। তাই চুল স্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে গেলে তবেই আঁচড়ানো উচিত।
শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার না করাও চুল পড়ার একটি বড় কারণ। কন্ডিশনার না দিলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, জট বাধে এবং আঁচড়ানোর সময় প্রচুর চুল উঠে যায়। তাই চুল ধোয়ার পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগান। পাশাপাশি সিরাম ব্যবহার করলে চুল আরও মসৃণ থাকে এবং চুল ভাঙাও কমে।
ভেজা চুল বেঁধে রাখা থেকেও দূরে থাকতে হবে। ভেজা অবস্থায় চুল বাঁধলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল দুর্বল হয়। এর ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। তাই চুল আর্দ্র থাকাকালীন কখনওই টাইট করে বেঁধে রাখবেন না।
চুল পড়ার ক্ষেত্রে বালিশের কভারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তুলোর বালিশকভার চুলের সঙ্গে ঘর্ষণ সৃষ্টি করে, ফলে ঘুমের সময় চুল ভেঙে যায়। তাই চুলের সুস্থতার জন্য সিল্ক বা সাটিনের বালিশকভার ব্যবহার করা ভালো। এতে ঘর্ষণ কম হয় এবং চুল ভাঙার প্রবণতাও কমে। পাশাপাশি নিয়মিত বালিশকভার পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সব মিলিয়ে, শীতকালে চুলের যত্নে সামান্য সচেতনতা রাখলেই চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়ম মেনে চুল শুকানো, ঠিকভাবে চিরুনি করা এবং প্রয়োজনীয় হেয়ার কেয়ার রুটিন মেনে চলাই চুলকে রাখবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
